বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আজ এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার সাক্ষী থাকলো ক্রিকেটপ্রেমীরা। টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিল মোহামেডান, কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই ঘটে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয় অধিনায়ক তামিম ইকবাল-কে। এই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতেও মোহামেডানের খেলোয়াড়রা তাদের মনোবল হারায়নি। বরং, অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে তারা যেন আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ওঠে।
অধিনায়কবিহীন মোহামেডান ফিল্ডিংয়ে নেমে শাইনপুকুরকে ২২৩ রানে অলআউট করে। শুরুতেই শাইনপুকুরের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান মোহামেডানের বোলাররা। ১০৭ রানের মধ্যেই তারা ৭টি উইকেট তুলে নেয়। তবে, শাইনপুকুরের অধিনায়ক রাইয়ান রাফসান এবং শরীফুল ইসলাম কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তারা ৭৭ রানের জুটি গড়েন। রাইয়ান রাফসান ৭৭ রান করেন এবং শরীফুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। মোহামেডানের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৪৪ রানের বিনিময়ে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন।

২২৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোহামেডান ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। রনি তালুকদারের সঙ্গে ১৬৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে মিরাজ একাই করেন ১০৩ রান। ৮৬ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে এই দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি মিরাজের তৃতীয় সেঞ্চুরি, তবে ঢাকা লিগে প্রথম। রনি তালুকদার ৬১ রান করে আউট হন। এরপর মাহিদুল, সাইফউদ্দিন ও নাসুমরা বাকি কাজটা সারেন।
একই দিনে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নেয় আবাহনী। ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব ৯ উইকেটে ২০১ রান তোলে। জবাবে, আবাহনী ওপেনার পারভেজ হোসেনের ১৩৩ বলে ১২৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে ১০.৪ ওভার ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আবাহনী। পারভেজের ইনিংসে ছিল ১৩টি চার ও ৫টি ছক্কার মার। মোসাদ্দেক হোসেনও ৫৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ধানমন্ডির অফ স্পিনার এনামুল হক ৪০ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন। ধানমন্ডির হয়ে ফজলে রাব্বি ৮৭ রান এবং জিয়াউর রহমান ৫৭ রান করেন। আবাহনীর ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা ৪৫ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট তুলে নেন।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচটিও ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। ওপেনার সাব্বির হোসেন (১২১ বলে ১০২) এবং অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরের (৯৪ বলে অপরাজিত ১০৭) সেঞ্চুরির সুবাদে প্রাইম ব্যাংক ৩ উইকেটে ৩২১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে। ইনিংসের শেষ দিকে শাহাদাত হোসেন ৩৩ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। জবাবে, অগ্রণী ব্যাংকের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (১১৫ বলে ১১৬) সেঞ্চুরি করলেও, তার দল ২৮৭ রানে অলআউট হয়ে ৩৪ রানে পরাজিত হয়। প্রাইম ব্যাংকের স্পিনার রিশাদ হোসেন ও আরাফাত সানি ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।
আজকের জয় নিয়ে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে লীগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে মোহামেডান। টানা ৫ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আবাহনী।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে
আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে