আছিয়ার মৃত্যুর ঘা শুকোয়নি এখনো। এর মাঝেই নির্মম ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭ বছরের আরেক কন্যাশিশু। নোয়াখালির সোনাইমুড়ী উপজেলার নদনা ইউনিয়নের উত্তর শাকতলা গ্রামে ২২ মার্চ বিকেলে ঘটে এ ঘটনা।
ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়ি নদনা ইউনিয়নে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ১ম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার পর তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে থাকা শিশুটির মা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে শিশুটি বাড়ির পাশের দোকানে দই কিনতে যায়। দীর্ঘক্ষণ পর শিশুকে বিধ্বস্ত অবস্থায় ফিরতে দেখে মা কোলে নিয়ে দেখেন তার শরীরে ব্লেড দিয়ে কাটার মতো জখম এবং সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে শিশুটি জানায়, দোকানে দোকানের শাটার টেনে বাদশা তাকে নির্যাতন করে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে অবহিত করে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বক্তব্য অনুযায়ী চারজন জড়িত থাকলেও পুলিশ একজন ধর্ষককে গ্রেফতার সক্ষম হয়েছে।অন্য আরেকজনের ছবিও ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গ্রেপ্তার রেজাউল করিম বাদশার বয়স ২২ বছর।সে উপজেলার নদনা ইউনিয়নের উত্তর শাকতলা গ্রামের মো. ফয়েজের ছেলে। বাদশা ওই গ্রামে রকমারি মালের দোকানদার। সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন,
‘সোমবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে বাদশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুপুরে তাকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।’
ওসি আরও বলেন,
‘বিষয়টি জানার পর রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত রেজাউল করিম বাদশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মামুন মোস্তাফিজ বলেন,
‘ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে সাত বছরের শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হলে তাৎক্ষণিক তাকে ভর্তি করে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ওয়ার্ডে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
এ ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে
আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে