দেশজুড়ে চলছে ধর্ষণ, খুন, ডাকাতি, ছিনতাইসহ আরো অনেক অপরাধের মিছিল। এর মাঝেই দেশে আসতে চলেছে নতুন রাজনৈতিক দল।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউস্থ জাতীয় সংসদের সামনে থেকে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে তারুণ্যনির্ভর নতুন রাজনৈতিক দলের। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-তরুণদের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাওয়া দলটির নেতৃত্বে কারা আসবেন তা নিয়ে চলতি মাসজুড়ে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
নতুন দলের দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম। ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন নাহিদ ইসলাম।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। সেই দলের দায়িত্ব নেবেন নাহিদ ইসলাম। তাছাড়াও, দলের আরও শীর্ষ তিন পদে সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র কারা আসছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নতুন দলের সদস্য সচিব হিসেবে দেখা যাবে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে।
নতুন দলের মুখ্য সংগঠক হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং মুখপাত্র হিসেবে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম থাকছেন বলে দল গঠনের সাথে যুক্ত কয়েকজন ছাত্রনেতা নিশ্চিত করেছেন।
২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর বাংলামোটরের রুপায়ন টাওয়ারের এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সারজিস আলম বলেন,
নতুন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দাবি হচ্ছে, একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। সবচেয়ে বড় অনুধাবনটি হচ্ছে সেই ৫ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের আমরা যে স্বপ্নগুলো দেখেছি এই জুলাই স্পিরিটকে সামনে রেখে। নতুন বাংলাদেশ যে জায়গায় কল্পনা করেছি, তা একটা দীর্ঘ লড়াই। হাজারো শহীদের জীবনের উপরে, অর্থাৎ লাখো ভাই-বোনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যে বাংলাদেশ, আগামী প্রজন্মকে সেই বাংলাদেশ উপহার দেওয়া আমাদের কাছে একটি আমানত।
শীর্ষ পদগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ থাকবে বলেও জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির এক শীর্ষ নেতা। নারীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।