ইতালির তুরিন শহর, কনকনে ঠান্ডা, বরফের চাদরে মোড়া চারপাশ। কিন্তু সেই শীতলতা ভেদ করে আজ এক উষ্ণ উল্লাস। শীতকালীন স্পেশাল অলিম্পিকস গেমসে ফ্লোর বল ইভেন্টে নিজেদের বিভাগে আবারও সোনা জিতেছে বাংলাদেশ। এই জয় শুধু একটি পদক নয়, বরং অদম্য মনোবল ও কঠোর পরিশ্রমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
আজ ফাইনালে ইউক্রেনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে সোনার হাসি হাসে বাংলাদেশ দল। এর আগে সেমিফাইনালে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ ও ইউক্রেন। গতকাল সেমিফাইনালে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ, আর ইউক্রেন হারিয়েছিল ভারতকে। ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও বাংলাদেশের মেয়েরা ছিল অপ্রতিরোধ্য।
বরফের ওপর বিভিন্ন খেলা অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে আলপাইন স্কিইং, ক্রস কান্ট্রি স্কিইং, ডান্সস্পোর্ট, ফিগার স্কেটিং, ফ্লোরবল, শর্ট ট্র্যাক স্পিড স্কেটিং, স্নোবোর্ডিং এবং স্নোশু অন্যতম।
বাংলাদেশের চারজন খেলোয়াড় একটি করে গোল করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। ময়মনসিংহের নান্দাইলের মেয়ে অধিনায়ক স্বর্ণা, মাদারীপুরের মেয়ে ফাতেমা, পাবনার মেয়ে ফাবিয়া এবং তামাল্লিন, এই চার কন্যার পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হয় তুরিনের দর্শকরা।
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের জন্য আয়োজিত এই বিশেষ গেমস মূলত শীতপ্রধান দেশগুলোর জন্য। ১০২টি দেশের তিন হাজারের বেশি খেলোয়াড় এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। বরফের ওপর বিভিন্ন খেলা অনুষ্ঠিত হয়, যার মধ্যে আলপাইন স্কিইং, ক্রস কান্ট্রি স্কিইং, ডান্সস্পোর্ট, ফিগার স্কেটিং, ফ্লোরবল, শর্ট ট্র্যাক স্পিড স্কেটিং, স্নোবোর্ডিং এবং স্নোশু অন্যতম। যেসব দেশে তুষারপাত হয় না, তাদের জন্য ফ্লোরবল রাখা হয়েছে, যা অনেকটা হকি খেলার মতো।
১৪ জনের এই গেমসে বাংলাদেশ থেকে অংশ নিয়েছেন আটজন খেলোয়াড়। দলনেতা শেখ আবুল হাসেম এবং উপদলনেতা কামরুন নাহার ডানা, এই দম্পতি এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। দুজনই ব্যাডমিন্টনে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত অ্যাথলেট।
তুরিন থেকে কামরুন নাহার ডানা জানিয়েছেন, মেয়েদের ঐকান্তিক চেষ্টায় এই সাফল্য এসেছে। তিনি কোচ, কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই জয় শুধু একটি দলের নয়, বরং পুরো দেশের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত।