ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এক নাটকীয় দিন। মিরপুরের মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টির লুকোচুরি খেলার মাঝেও, অগ্রণী ব্যাংক ও পারটেক্সের ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেছে। তবে, বিকেএসপির দুই মাঠে বৃষ্টির দাপটে ভেস্তে গেছে রূপগঞ্জ টাইগার্স বনাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং গুলশান ক্রিকেট ক্লাব বনাম লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ম্যাচ দুটি।
মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অগ্রণী ব্যাংক শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ২১৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ গড়ে তোলে। মার্শাল আইয়ুবের ৮৭ বলে ৬৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এবং সাদমান ইসলামের ৪৮ বলে ৩১ রানের কার্যকরী ইনিংস অগ্রণী ব্যাংকের ইনিংসকে কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতা দেয়। তবে, অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ১৯ রান। পারটেক্সের বোলারদের মধ্যে নাঈম ইসলাম জুনিয়র ৪১ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। মোহর শেখ, আলাউদ্দিন বাবু এবং জাওয়াদ রোয়েন প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পারটেক্সের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। তৃতীয় ওভারেই ৩ রানে ওপেনার জয়রাজ শেখকে হারিয়ে তারা চাপে পড়ে যায়। তবে, আহরার আমিন ও মোহাম্মদ রাকিবের ৭০ রানের জুটি পারটেক্সের ইনিংসে কিছুটা প্রাণসঞ্চার করে। আহরারের বিদায়ের পর, জাওয়াদ রোয়েনকে সঙ্গে নিয়ে রাকিব আরও ৪২ রান যোগ করেন। তবে, ২০৩ থেকে ২০৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে পারটেক্সের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দেন অগ্রণী ব্যাংকের বোলাররা।
শেষ ওভারে পারটেক্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ রান, আর তাদের হাতে ছিল মাত্র ১টি উইকেট। রাকিব, যিনি ততক্ষণে ৭৬ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করে ফেলেছেন, তিনি যেন একাই লড়ছিলেন। শেষ ওভারের নাটকীয়তায় তিনি প্রথম বলে ডট খেললেও, দ্বিতীয় বলেই হাঁকান বাউন্ডারি। তৃতীয় বলে তার ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন নাঈম। চতুর্থ বলে তাইবুর রহমানকে হাঁকান আরও একটি চার। পঞ্চম বলে এক রান নিয়ে শেষ ব্যাটসম্যান আবদুল গাফফারকে স্ট্রাইকে আনেন রাকিব। শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১ রান। গাফফার কোনোমতে ব্যাট ছুঁয়ে দৌড় শুরু করেন, এবং দুই ব্যাটসম্যান দাগ ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পারটেক্সের ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুম থেকে মাঠে ছুটে আসেন জয়ের উল্লাসে।
১০৩ বলে ৫টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে রাকিব হন ম্যাচের নায়ক।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে
আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে