২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে অনেকেই ইনস্টাগ্রাম খুলে দেখেন, তাদের ফিডে অদ্ভুত ধরনের কন্টেন্ট আসছে। এসব ভিডিওতে সহিংসতা, অশ্লীলতাসহ এমনকি কিছু কনটেন্ট এতটাই ভালগার ছিলো যে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুতই এই ঘটনা ভাইরাল হয়। টুইটারে (X), রেডডিটে অনেকেই পোস্ট করে জানান, ইনস্টাগ্রাম অটোমেটিক্যালি তাদের ফিডে এমন কন্টেন্ট দেখাচ্ছে, যা তারা কখনো ফলো করেননি।
এখন প্রশ্ন হলো— এটা ঘটলো কেন? দুইটি সম্ভাবনা রয়েছে:
1️⃣ অ্যালগরিদমিক গ্লিচ: হতে পারে, ইনস্টাগ্রামের অ্যালগরিদমে কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়েছিল, যার ফলে আপত্তিকর কন্টেন্ট স্বাভাবিকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
2️⃣ হ্যাকিং আক্রমণ: কেউ যদি ইনস্টাগ্রামের সিস্টেমে ঢুকে থাকে, তবে এটি একটি সাইবার আক্রমণ।
ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে, এটি একটি ‘টেকনিক্যাল গ্লিচ’ ছিল, যা দ্রুত সমাধান করা হয়েছে।
কিন্তু…!সত্যিই কি এটা শুধুই গ্লিচ ছিল? নাকি এর পেছনে আছে আরও গভীর কিছু? তবে কি মেটা তাঁর ইউজারদের নিরাপত্তা দিতে অক্ষম?
আশ্চর্যের বিষয়, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালেও ইনস্টাগ্রামে একই ধরনের সমস্যা দেখা গিয়েছিল! তবে তখন ঘটনাটি ছোট পরিসরে ঘটেছিল। এবার ব্যাপারটি আরও বড় আকার ধারণ করেছে!
এই ঘটনা প্রমাণ করে দেয়— সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো আমাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ! এবার চলুন জেনে নিই, একজন ইউজার হিসেবে আপনি কি করে এ ধরনের ‘বিপদ’ থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন।
✅ কন্টেন্ট রিপোর্ট করুন – যদি অশ্লীল বা সহিংস কন্টেন্ট দেখেন, সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করুন।
✅ অ্যাকাউন্ট সিকিউর করুন – ইনস্টাগ্রাম পাসওয়ার্ড আপডেট করুন, ২-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করুন।
✅ প্রোফাইল সেটিংস চেক করুন – অনাকাঙ্ক্ষিত কন্টেন্ট ব্লক করার জন্য ‘Sensitive Content Control’ সেটিংস পরিবর্তন করুন।