বাংলাদেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নারীর শরীরে এই ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে, বরং জানুন কীভাবে সচেতন থাকবেন।
এইচএমপি ভাইরাসের পুরো নাম হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস। এটি একটি শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস, যা শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষ – সবার মধ্যেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এই ভাইরাস সাধারণত শীতকালে বেশি ছড়ায়। তবে, যে কোনো সময়েই এটি ছড়াতে পারে।
এইচ এম পি ভিতে আক্রান্ত হলে সাধারণত সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। গুরুতর অবস্থায় নিউমোনিয়া বা ব্রংকাইটিসও হতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাঁদের জন্য এটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে লক্ষণগুলো অনেকটা সাধারণ সর্দি-কাশির মতো। এর মধ্যে রয়েছে:
১. সর্দি।
২. কাশি।
৩. গলা ব্যথা।
৪. জ্বর।
৫. শ্বাসকষ্ট।
এই ভাইরাসটি সাধারণত কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে ছড়ায়। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ করা জিনিসপত্রের মাধ্যমেও এটি অন্যদের সংক্রমিত করতে পারে। তাই সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।চলুন জেনে নিই কিভাবে সচেতনতার মাধ্যমে আমরা এই ভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারি।
১. নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
২. বাইরে গেলে মাস্ক পরা।
৩. হাঁচি বা কাশি দেয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা।
৪. অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
৫. ঘরবাড়ি এবং স্পর্শকাতর জায়গাগুলো জীবাণুমুক্ত রাখা।
সচেতনতা এবং দায়িত্বশীলতাই আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। এইচএমপি ভাইরাস নতুন হলেও কিছু পন্থা অবলম্বন করে আমরা এর থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারি।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে
আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে