চলছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র মাস রমজান। সেহরি থেকে ইফতারের সময়কালের মাঝে থাকে একটি লম্বা বিরতি। মুসলিম দের মধ্যে রোজা নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারনা আছে। এমনকি এসব ধারনা নিয়ে নানা মতবাদ ও আছে মুসলিমদের মধ্যে।ইসলাম ধর্ম অত্যন্ত সহজ একটি জীবন বিধান। এখানে অনিচ্ছাকৃত ভুল আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক কাজ আছে যা দিয়ে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না কিন্তু অনেকেই এইগুলোকে রোজা ভঙ্গের কারন মনে করেন। যেমনঃ
ভুল ধারণা ১ – চোখ বা কানে ড্রপ দিলে রোজা ভেঙে যাবে?
- ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, চোখের ড্রপ বা কানের ড্রপে রোজা ভাঙে না, যদি তা পাকস্থলীতে না যায়।
- তবে নাকের ড্রপ নিয়ে সাবধান থাকতে হবে, কারণ এটি সরাসরি গলায় প্রবেশ করতে পারে।
ভুল ধারণা ২ – আতর বা সুগন্ধি ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে?
- আতর বা পারফিউম ব্যবহার করা রোজার কোনো ক্ষতি করে না।
- তবে ধোঁয়া জাতীয় কিছু যদি নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে, তাহলে সতর্ক থাকতে হবে।
তাহলে, আতর ব্যবহার করা যাবে – কিন্তু ধূপ বা ধোঁয়া জাতীয় কিছু থেকে সাবধান!
ভুল ধারণা ৩ – ব্লাড টেস্ট বা ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙবে?
- সাধারণ ইনজেকশন বা ব্লাড টেস্ট করলে রোজা ভাঙবে না।
- কিন্তু যদি গ্লুকোজ বা পুষ্টিকর কিছু ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।
ভুল ধারণা ৪ – স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভেঙে যায়?
- ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙবে না।
- তবে অবশ্যই ফজরের আগে বা পরে গোসল করতে হবে।
সত্যি কী কী কারণে রোজা ভাঙে?
- ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু খেলে বা পান করলে।
- ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে।
- ইচ্ছাকৃতভাবে যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হলে।
- মহিলাদের মাসিক বা প্রসব-পরবর্তী রক্তস্রাব হলে।
রোজার মধ্যে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত আছে, যা আসলে কুসংস্কার ছাড়া কিছুই নয়। সঠিক ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা আমাদের সবার দায়িত্ব।