গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার করা হয় কোরিয়ান অভিনেত্রী কিম সে রনের মৃতদেহ। কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম কোরিয়া টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্ব সিউলের সিওংসু-ডং-এর নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর।
কিমের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য না পাওয়া গেলেও শুরু হয়েছে তদন্ত। আর তদন্তেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন কিম সে রন। মৃত্যুর তারিখ অনেকের মনে তৈরি করেছে নতুন প্রশ্ন। কারণ কিম সে রন যেদিন আত্মহত্যা করেন সেদিন ছিল অভিনেতা কিম সো হুনের জন্মদিন।
নেটিজেনরা বলছেন, এ দুই তারকার মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কোরিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে দেখা যায়, ২০২৪ সালে কিম সো হুনের সঙ্গে একটি অন্তঃরঙ্গ ছবি পোস্ট করেছিলেন কিম সে রন। মুহূর্তেই তখন সে ছবি ভাইরাল হয় অন্তর্জালে।ভাইরাল ছবিটি প্রমাণ করে যে, দুই সেলিব্রেটি ভালোবাসার গভীর সম্পর্কে রয়েছেন।
এ খবর তখন কোরিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অভিনেতার এজেন্সি তা মিথ্যা খবর বলে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দেন। কারণ হিসেবে জানা যায়, ওই সময় কিম সো হুন অভিনীত ড্রামা ‘কুইন অব টিয়ারস’রেটিং পয়েন্টে শীর্ষে অবস্থান করছিল। এমন সময় অভিনেতার প্রেমের সম্পর্ক এজেন্সি ও অভিনেতার ক্যারিয়ারে হুমকি হতে পারে বলে প্রেমের সম্পর্ক থেকে সরে যান হুন।
যা মেনে নিতে পারেননি সে রন।তাই ধারণা করা হচ্ছে, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েই আত্মহত্যা করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেন কিম সে রন। যদিও তার বাড়িতে এখনও কোনো সুইসাইড নোট খুঁজে পায়নি কোরিয়ার পুলিশ।