গ্রুপ পর্বের শ্বাসরুদ্ধকর শেষ ম্যাচে ২ রানে হেরে গেছে আফগানরা। জটিল সমীকরণে ২৯১ রান তাড়া করে ৩৭.৪ ওভারে ২৮৯ রানে অলআউট হয় তারা। দলের সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেছেন মোহাম্মদ নবী, শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন কাসুন রাজিথা।
৩৭.১ ওভারে ২৯২ রান করতে পারলেই সুপার ফোরে যেতে পারবে আফগানরা, এই লক্ষ্যে ব্যাট শুরু করেন রহমাতুল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহীম জাদরান। কিন্তু শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি তাদের। তৃতীয় ওভারে ১০ রানের মাথায় গুরবাজ (৮ বলে ৪ রান) এবং পঞ্চম ওভারে ২৭ রানের মাথায় জাদরান (১৪ বলে ৭ রান) আউট হয়ে ফিরে যান। দুটি উইকেটই নিয়েছেন রাজিথা।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকলেও রানের চাকা ছিলো সচল। ৫০ রানের মাথায় গুলাব্দিন নায়েব ১৬ বল মোকাবেলায় ২২ রান করে পাথিরানার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন।
এরপর রহমত শাহ এবং হাসমাতুল্লাহ শাহিদী শ্রীলংকান বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন। এই জুটি ৬৩ বলে ৭১ রান সংগ্রহ করে। রাজিথা বোলিং এসে রহমাত শাহকে বোল্ড করে জুটি ভাঙ্গেন। ৩০ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন রহমত।
এরপরি ক্রিজে আসেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী। লক্ষ্যটা ছিলো পরিষ্কার। দ্রুত রান তুলতে হবে, তা নাহলে জিতেও লাভ হবে না। এসেই বোলারদের বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন তিনি। মূলত: নবী ক্রিজে আসার পরই আফগানদের স্বপ্ন আবার জেগে ওঠে। নবী এবং হাসমাতুল্লাহ আফগানদের জয়ের জন্য খেলতে থাকেন।
৫ টি বিশাল ছক্কা ওবং ৬ টি চারের সাহায্যে মাত্র ৩২ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নবী। ২৭ তম ওভারে যখন থিকসানা তাকে আউট করেন দলীয় স্কোর তখন ৫ উইকেটে ২০১। সুপার ফোরে যেতে হলে ৬৪ বলে প্রয়োজন ৯১ রান।
মোহাম্মদ নবী আউট হওয়ার পরপরই করিম জানাত ও শাহিদী মিলে আবার চড়াও হন শ্রীলংকানদের উপর। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লে রানের চাকা আটকাতে পারেনি শ্রীলংকান রা।
করিম জানাত ২২(১৩ বলে, শাহিদী ৫৯(৬৮ বলে), নাজিবুল্লাহ জাদরান ২৩ (১৫ বলে) আউট হয়ে গেলেও ক্রিজে ছিলেন রশিদ খান। তিনি ১৬ বলে ২৭ করে অপরাজিত ছিলেন।
একটা পর্যায়ে আফগানদের স্কোর ৩৭ ওভারে ২৮৯/৮। এক বলে দরকার ৩ রান। মুজিব ধনাঞ্জয়া এর বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তুলে দেন, সেই সাথে শেষ হয়ে যায় আফগানদের স্বপ্ন। যদিও, আর তিন বলের মধ্যে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯৫ রান করলেও সুপার ফোরে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু ফারুকি রানের খাতা না খুলেই আউট হয়ে যান। শ্রীলঙ্কা ২ রানে জিতে নেয় ম্যাচ।
শ্রীলংকার পক্ষে রাজিথা ৪ উইকেট, ধনাঞ্জয়া এবং দুনিথ ২ টি করে উইকেট লাভ করেন। এছাড়া, থিকসানা ও পাথিরানা একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
৯২ রান করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন কুশাল মেন্ডিস।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন এখানে
আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে